হ্যালো বন্ধুরা , মাউন্ট এভারেস্ট যার উচ্চতা ৮,৮৪৯ মিটার। যেটিকে বলা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পর্বতশৃঙ্গ। তাই প্রতি-বছর মানুষ নিজের জীবন কে হাতে নিয়ে এই মাউন্ট এভারেস্টে চড়তে শুরু করেছে এবং মাউন্ট এভারেস্ট এর চূড়ায় চড়তে একবার হলে-ও সপ্ন দেখেছে অনেক মানূষ।
কিন্তু মাউন্ট এভারেস্ট আচ্চরজ এবং সুন্দর নয়। এই পর্বতের কিছু রহস্য যুগ যুগ ধরে অনেক ভাবিয়ে তুলেছে। তাই অদ্ভুত টিভির মাধ্যমে আমরা মাউন্ট এভারেস্ট এবং বিতর্কিত ইয়েতির সম্পর্কে কিছু জানতে চলেছি। যা আপনাকে রোমাঞ্চিত করবে।
ইয়তি বা হিম-মানব নেপাল এবং তিব্বতের লোক-কথা বা লোকগল্প অনুযায়ী এ-টি হচ্ছে একটি দৈত্তকার জীব। যার ব্যাপারে অনেকের অনেক ধারণা রয়েছে। এই জীবের শরীরে সম্পূর্ণ বড় বড় লোমে ঢাকা থাকে। যাদের মানুষেরমত দুটি হাত এবং দুটি পা আছে। ইয়েতি সাধারণত রাতের বেড়ায় বেরিয়ে ঘুরে বেড়ায়। অনেকেই মনে করেন ইয়েতি মানুষেরই মত। কিন্তু মানুষের চেয়ে দেহের আকারে একটু বড়। আবার অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন ইয়েতি মানুষের একটি প্রজাতি। কেউ কেউ দাবি করেন যে তারা না কি ইয়েতি-ও দেখেছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে ইয়েতি যে আছে এর কোন নিদিষ্ট প্রমান এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারিনি
তবে হ্যাঁ, ইয়েতি যে কল্পিত তা ভূল প্রমান করে। ইয়েতি প্রমান করার জন্য দুইটি অভিযান চালামো হয়েছে । চলুন বন্ধুরা সেই দুটি অভিযানের লক্ষ্যপাত করা যাক। ১৯৯১ সালে এভারেস্টের সাথে ভালভাবে পরিচিত অনুভবি হাইকার এরিস্পটনের নেতৃতের একটি দল জনপ্রিয় ইয়েতি-কে খুজতে বেরিয়ে পড়ে। এই ইয়েতি পাওয়া দুটি জিনিস একটি হলো মাথার খুলি এবং পায়ের ছাপ। যা দেখার পর এটাই মনে করে এগোলই হচ্ছে সেই লোক কথার ইয়েতির বা হিম মানুষের । কিন্তু এই অভিজান থেকে-ও বেশী সফলতা পায়-নি। ২০০৯ সালের আর একটি অভিযান ডায়ানস্টোন এবং তার টিম এই হিম মানুষের কিছু পায়ের ছাপ দেখতে পাই। যা ১৩ ফিট লম্বা শুধু তাই নয় সে পায়ের ছাপে তারা কিছু চুল ও পাই। এটি একটি তাদের জন্য বড় খোজ ছিল কারণ চুল থেকে ডি.এন.এ উদ্ধার করা সম্ভব। আর সেটাই করা হলো ২০০৯ সালে । যার ফলাফল শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, চুল থেকে পাওয়া অনু আজ অব্দি আর কোন প্রনী-তে পাওয়া যায়নি। এমন প্রানী আজ পজন্ত মানব সভ্যতাও অপিরিচিত। ইয়েত বা হিম মানবের লোক কথা এর পরেও কোনদিন প্রমান পাওয়া না গেলেও এর লোককথা মানুষ-কে রোমাঞ্চিত করে তুলেবে । এমন রোমাঞ্চিত করে তুলেছিল ফেরপাকে । ফেরপা বিখ্যাত দুটি কারণে সে সবচেয়ে দ্রুত ২১ শে মে ২০০৪ সালে মাত্র ৮ ঘন্টায় এভারেস্টের চূড়ায় ঊঠেছিল এবং সে এভারেস্টে ভূত আছে এই দাবি করেছিল।
সে জানিয়েছে সে এভারেস্টের চূড়া থেকে নিচে নামছিল তখন সে দেখে কিছু কঙ্কাল আকৃতির মূর্তির ছায়া যা তার দিকে এগিয়ে আসছিল তাদের দখে মনে হচ্ছিল তারা ক্ষুধার্ত । সে এ ও দাবি করেছে যারা এভারেস্টে যাওয়ার সময় মারা যায় তাদের আত্মাগুলা ঘুরে বেড়ায় মাউন্ট এভারেস্টে। তবে এ দাবি-টি অনেকেই করেছেন । তবে সত্যিয়ই কি ইয়েতি বা হিমমানব এর অস্তিত্ব আছে কিনা তা সঠীকভাবে কেউ বলতে পারেনি।